গৌতম বুদ্ধের বাণী Gautom Buddha Quotes
গৌতম বুদ্ধ খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ থেকে ৪র্থ শতাব্দীর মধ্যবর্তী কোনও এক সময়ে প্রাচীন ভারতের পূর্বাঞ্চলে জীবিত ছিলেন এবং শিক্ষাদান করেছিলেন। গৌতম বুদ্ধ বা সিদ্ধার্থ গৌতম ছিলেন প্রাচীন ভারতের বৌদ্ধধর্মের প্রতিষ্ঠাতা। বুদ্ধ শব্দের অর্থ জ্ঞানপ্রাপ্ত বা আলোকপ্রাপ্ত। যুগের প্রথম জ্ঞানপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বুদ্ধ বলা হয়ে থাকে। খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ থেকে চতুর্থ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে তিনি জীবিত ছিলেন ও অধিকাংশ সময় পূর্ব ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে শিক্ষা প্রদান করেন বলে মনে করা হয়ে থাকে। আধুনিক ঐতিহাসিকবিদৰ মতে, গৌতম বুদ্ধৰ মৃত্যু ঘটে ৪৮৬ ৰ পৰা ৪৮৩ খৃষ্টপূৰ্বাব্দৰ মধ্যবৰ্তী কোনো এক সময়লৈ; আকৌ কিছুমানৰ মতে, ৪১১ – ৪০০ খৃষ্টপূৰ্বাব্দৰ মধ্যকাললৈকে।
“তিনটি জিনিস দীর্ঘসময় লুকিয়ে রাখা যাবে না: সূর্য, চাঁদ এবং সত্য” – গৌতম বুদ্ধ
“তোমার রাগের জন্য তুমি শাস্তি পাবে না, তোমার রাগ দ্বারা তোমার শাস্তি হবে।” – গৌতম বুদ্ধ
“কোনো পাপকেই ক্ষুদ্র মনে করো না। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাপই জমা হতে হতে মূর্খের পাপের ভান্ড পূর্ণ করে ফেলে।” – গৌতম বুদ্ধ
“মা যেমন তাঁর নিজ পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে তেমনি সকল প্রাণীর প্রতি অপরিমেয় মৈত্রীভাব পোষণ করবে” – গৌতম বুদ্ধ
“তোমার রাগের জন্য তুমি শাস্তি পাবে না, তোমার রাগ দ্বারা তোমার শাস্তি হবে।” – গৌতম বুদ্ধ
“যিনি উপদেশ দেন, অনুশাসন করেন এবং অসভ্যতা নিবারণ করেন তিনি অসতের অপ্রিয় এবং সৎলোকের প্রিয় হন” – গৌতম বুদ্ধ
“নিজেকে নিয়ন্ত্রণ কর। তারপর অন্যকে অনুশাসন কর। নিজে নিয়ন্ত্রিত হলে অন্যকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করাই কঠিন।” – গৌতম বুদ্ধ
“প্রাজ্ঞ ব্যক্তি কখনো নিন্দা বা প্রশংসায় প্রভাবিত হয় না” – গৌতম বুদ্ধ
“সকলেই দণ্ডকে ভয় করে, জীবন সকলের প্রিয়। সুতরাং নিজের সাথে তুলনা করে কাকেও প্রহার করবে না কিংবা আঘাত করবে না” – গৌতম বুদ্ধ
“অর্থহীন সহস্র বাক্য অপেক্ষা একটিমাত্র সার্থক বাক্য যা শুনে লোকে শান্তি লাভ করে তাই শ্রেয়” – গৌতম বুদ্ধ
“মৈত্রী দ্বারা ক্রোধকে জয় করবে, সাধুতার দ্বারা অসাধুকে জয় করবে, ত্যাগের দ্বারা ক্রোধকে জয় করবে ও সত্যের দ্বারা মিথ্যাকে জয় করবে” – গৌতম বুদ্ধ
“ভালো কাজ সবসময় কর। বারবার কর। মনকে সবসময় ভালো কাজে নিমগ্ন রাখো। সদাচরণই স্বর্গসুখের পথ।” – গৌতম বুদ্ধ
“কাউকে কটু কথা বলবে না। কারণ সে-ও কটু প্রতু্ত্তর দিতে পারে। উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় তোমার জন্যেও কষ্টদায়ক হবে। দন্ডের প্রতিদন্ড তোমাকেও স্পর্শ করবে।” – গৌতম বুদ্ধ
“জগতে মাতা ও পিতার সেবা সুখকর। শ্রমণ ও পণ্ডিতদের পরিচর্যা জগতে সুখ দায়ক। বার্ধক্য পর্যন্ত শীল (নীতি) পালন সুখকর।শ্রদ্ধায় প্রতিষ্ঠিত হওয়াই সুখদায়ক। প্রজ্ঞালাভই সুখ জনক, পাপ না করাই সুখাবহ।” – গৌতম বুদ্ধ
“জগতে শত্রুতার দ্বারা কখনো শত্রুতার উপশম হয় না, মিত্রতার দ্বারাই শত্রুতার উপশম হয়” – গৌতম বুদ্ধ
“পরের কৃত ও অকৃত কার্যের প্রতি লক্ষ্য না রেখে নিজের কৃত ও অকৃত কার্যের প্রতি লক্ষ্য রাখবে” – গৌতম বুদ্ধ