উইলিয়াম শেক্সপিয়র এর কিছু বাণী বা উক্তি
ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের অন্তর্গত এভন নদীর তীরে স্ট্রাটফোর্ড শহরে এক দরিদ্র পরিবারে শেক্সপিয়র জন্মগ্রহণ করেন। স্থানীয় চার্চের তথ্য থেকে যা জানা যায় তাতে অনুমান তিনি সম্ভবত ১৫৬৪ খ্রিষ্টাব্দের ২৩ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জন শেক্সপিয়রের মা ছিলেন আর্ডেন পরিবারের সন্তান। শেক্সপিয়র তার As you like it নাটকে মায়ের নামকে অমর করে রেখেছেন। আঠার বছর বয়সে শেক্সপিয়র বিবাহ করলেন তার চেয়ে ৮ বছরের বড় অ্যানি হাতওয়েকে। বিবাহের কয়েক মাসের মধ্যে অ্যানি এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেয়। তার নাম রাখা হয় সুসানা। এর দুই বছর পর দুটি যমজ সন্তানের জন্ম হয়। ছেলে হ্যামলেট মাত্র ১ বছর বেঁচে ছিল।
রচনার কাল অনুসারে শেক্সপিয়রের নাটকগুলোকে প্রধানত চার ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগের বিস্তার ১৫৮৮ থেকে ১৫৯৫ সাল পর্যন্ত। এই পর্বের উল্লেখযোগ্য নাটক রিচার্ড থ্রি, কমেডি অব এররস, টেমিং অব দি শ্রু, রোমিও জুলিয়েট। ১৫৯৬ থেকে ১৬০৮। এই সময়ে রচিত হয়েছে তার শ্রেষ্ঠ চারটি ট্র্যাজেডি-হ্যামলেট, ওথেলো, কিং লিয়ার, ম্যাকবেথ। শেষ পর্বে যে ৫টি নাটক রচনা করেন তার মধ্যে দুটি অসমাপ্ত, তিনটি সমাপ্ত। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দি টেম্পেস্ট।
ডেনমার্কের যুবরাজ হ্যামলেট। সবেমাত্র পিতার মৃত্যু হয়েছে। মা তারই কাকাকে বিবাহ করেছে। পিতার মৃত্যুতে শোকাহত হ্যামলেট একদিন রাতে তার কয়েকজন অনুচরসহ পাহারা দিতে দিতে দেখতে পায় হ্যামলেটের পিতার প্রেতমূর্তি। হ্যামলেট পিতার সেই প্রেতমূর্তির সাথে সাক্ষাৎ করতে আসে। সেই প্রেতমূর্তি তাকে বলে তার বাগানে ঘুমানোর সময় তারই ভাই (হ্যামলেটের কাকা) কানের মধ্যে বিষ ঢেলে দেয় আর তাতেই তার মৃত্যু হয়। হ্যামলেট যেন এই মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়। হ্যামলেট বুঝতে পারে তার পিতাকে হত্যা করা হয়েছে। সে উন্মাদের মতো হয়ে ওঠে। তার প্রিয়তমা ওফেলিয়ার সাথে পর্যন্ত এমন আচরণ করে, যা তার স্বভাববিরুদ্ধ। নিজের অজান্তে ওফেলিয়ার পিতা পলোনিয়াসকে হত্যা করে। মানসিক আঘাতে বিপর্যস্ত ওফেলিয়া আত্মহত্যা করে। আর হ্যামলেট আত্মদ্বন্দ্বে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকে। সে শুধু তার পিতার হত্যাকারীকেই হত্যা করতে চায় না, সে চায় রাজপ্রাসাদের সব পাপ কলুষতা দূর করতে। ষড়যন্ত্রের জাল চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। হ্যামলেটের কাকা তাকে বিষ প্রয়োগ করে হত্যা করতে চায় কিন্তু সেই বিষ পান করে মারা যান হ্যামলেটের মা। ক্রুদ্ধ হ্যামলেট তরবারির আঘাতে হত্যা করে কাকাকে। কিন্তু নিজেও বিষাক্ত ছুরির ক্ষতে নিহত হয়।
“কাউকে সারা জীবন কাছে পেতে চাও? তাহলে প্রেম দিয়ে নয় বন্ধুত্ব দিয়ে আগলে রাখো। কারণ প্রেম একদিন হারিয়ে যাবে কিন্তু বন্ধুত্ব কোনদিন হারায় না” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“প্রত্যাশাই সকল মর্মবেদনার কেন্দ্র বিন্দু” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“সংসারে কারো ওপর ভরসা করো না, নিজের হাত এবং পায়ের ওপর ভরসা করতে শেখো” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“অভাব যখন দরজায় এসে দাঁড়ায়, ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“আমি সবসময় নিজেক সুখী ভাবি, কারণ আমি কখনো কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করি না, কারো কাছে কিছু প্রত্যাশা করাটা সবসময়ই দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“আমার ভালো বন্ধুদের কথা মনে করে আমি যতোটা সুখী হতে পারি, অন্য কোনোভাবে ততোটা সুখী হতে পারি না” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“সংসারে কারো ওপর ভরসা করো না, নিজের হাত এবং পায়ের ওপর ভরসা করতে শেখো” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“নারীর কাছে সন্তান প্রসব একটা তৃপ্তিকর শান্তি” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“তারাই সুখী যারা নিন্দা শুনে এবং নিজেদের সংশোধন করতে পারে” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“কাউকে সারা জীবন কাছে পেতে চাও? তাহলে প্রেম দিয়ে নয় বন্ধুত্ব দিয়ে আগলে রাখো। কারণ প্রেম একদিন হারিয়ে যাবে কিন্তু বন্ধুত্ব কোনদিন হারায় না” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“সচেতনতা আমাদের সবাইকে কাপুরুষ বানিয়ে দিয়েছে” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র
“সততার নিকট দুর্নীতি কোনোদিনই জয়ী হতে পারে না” – উইলিয়াম শেক্সপিয়র